ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদপুর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে ওই প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ৮২নম্বর চাঁদপুর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বিদ্যালয়টিকে তার অনিয়ম ও জালিয়াতির স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজের মতো করে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য পকেট কমিটি গঠন করেন। বর্তমানে ওই পকেট কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের স্লিপ, প্রাক-প্রাথমিক ও মাইক কেনা বাবদ সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে তা দিয়ে কোনো মালামাল না কিনেই ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান স্কুল খোলা তারিখে শুধু শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান এবং বিদ্যালয়ে থাকেন না নিয়মিত।
অভিযোগে আরও জানা যায়, চাঁদপুর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকারিভাবে দেওয়া স্টিলের আলমীরা, মটার, পানির ট্যাংকিসহ অন্যান্য মালামলা প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান নিজের বাসা বাড়িতে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার সচেতন মহল প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের এ ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতি তদন্ত মাধ্যমে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে অন্যত্র বদলী করার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে বায়োমেট্টিক যন্ত্র না কিনে ভাউচার দাখিলের বিষয়ে বলেন সবাই যেভাবে করছে আমিও সে ভাবেই করছি।
এদিকে স্লিপের মালামাল ক্রয়ের যে ভাউচার শিক্ষা অফিসে দাখিল করেছেন তা ভূয়া দাবি করে সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকরা বলেন, আমার প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে কোনো মালামাল বিক্রি করিনি তিনি আমাদের দোকানের কর্মচারীদের কাছ থেকে কৌশলে ব্লাংক ভাউচার নিয়ে যায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।